,

নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

মুজাহিদ চৌধুরী ॥ বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সর্বমোট ৮১৮ জন ভোটারের মধ্যে ৭৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করলেন যোগ্য নেতৃত্ব। ১৯ পদের মধ্যে ১১ টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং একক প্রার্থী থাকায় অন্যান্য ৮টি পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়। ১১টি পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সভাপতি পদে ২ বারের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী ৪১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভবানী শংকর ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় কৃপেশ চন্দ্র নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে ৫টি পদের জন্য ৮জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে লিটন চন্দ্র রায় ৫০৪ ভোট, মোঃ ছুরুক মিয়া ৪৪১ ভোট, মিহির লাল দাশ ৪৩৭ ভোট, মোঃ বজলুর রহমান ও মোঃ গিয়াস উদ্দিন উভয়ে ৪৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপর ৩ প্রার্থী মোঃ রমজান বক্স ৪১১ ভোট, অরুন কান্তি রায় ৩৫৪ ভোট ও মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ পেয়েছেন ৩৩১ ভোট। সহ সভাপতি (মহিলা) পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন শাহিনুর আক্তার চৌধুরী পান্না, সুফিয়া বেগম ও সেলিনা বেগম। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম রব্বানী ৩১৩ ভোট পেয়ে পুনঃরায় নির্বাচিত হন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বি বিপুল চন্দ্র দাশ ২৭২ ভোট ও মোহাম্মদ সাদিউর রহমান পেয়েছেন ১৬০ ভোট। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২ বারের নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া ৪৮৭ ভোট পেয়ে ৩ বারের মতো নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ বদরুল আলম পেয়েছেন ২৩৮ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ৫১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সমীরন দে, তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ আব্দুল ওয়াহাব (ফারুক) পেয়েছেন ২৪২ ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আশিকুর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বখত চৌধুরী ৩৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ২৩৪ ভোট ও সজল চন্দ্র দাশ পেয়েছেন ১২৪ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ নানু মিয়া ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রাজীব দাশ পান ৩৬০ ভোট। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন লোমেশ রঞ্জন দাশ তিনি পান ৪৩৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সঞ্জয় চন্দ্র দাশ পেয়েছেন ৩১৫ ভোট। কাব/স্কাউট বিষয়ক সম্পাদক পদে মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন সুমেশ চন্দ্র দাশ, তিনি পান ৩৭৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুহিবুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭২ ভোট। সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পদে ৪২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন পিংকু কুমার দাশ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ আব্দুল মজিদ পেয়েছেন ৩৩৩ ভোট। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন পলাশ রতন দাশ এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সবিতা রাণী রায় নির্বাাচিত হয়েছেন। নির্বাচন চলাকালে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল বাতেন খান, ৯নং বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুর রহমান, ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ছাইম উদ্দিন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ চৌধুরী, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক মোঃ সেলিম তালুকদার, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের স্টাফ রিপোর্টার আলী হাছান লিটন সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর